ডায়াবেটিস একটি সাধারণ কিন্তু গুরুতর রোগ, যা রক্তে শর্করার মাত্রা খুব বেশি হয়ে গেলে ঘটে। এটি তখন হয় যখন অগ্ন্যাশয় ইনসুলিন নামক হরমোন তৈরি করতে ব্যর্থ হয় অথবা শরীর ইনসুলিনের প্রভাবে সঠিকভাবে সাড়া দেয় না। ডায়াবেটিসের প্রধান লক্ষণগুলির মধ্যে তৃষ্ণা বৃদ্ধি, ঘন ঘন মূত্রত্যাগ, ক্লান্তি এবং ঝাপসা দৃষ্টির মতো সমস্যা দেখা যায়। এছাড়া, কিছু মানুষের শরীরে অস্বাভাবিকভাবে ওজন কমে যেতে পারে এবং ঘা সেরে উঠতে সময় নেয়। প্রাথমিকভাবে ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলি অতটা স্পষ্ট নাও হতে পারে, তবে যাদের এই রোডায়াবেটিসের স্বাভাবিক রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা রোগীর শারীরিক অবস্থা এবং চিকিৎসার ধরণ অনুসারে পরিবর্তিত হতে পারে। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন অনুযায়ী, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপবাসের সময় রক্তে গ্লুকোজের টার্গেট পরিসীমা ৩.৯ – ৭.২ মিমোল/L (৭০ – ১৩০ মিগ্রা/ডিএল) হওয়া উচিত। খাবারের দুই ঘণ্টা পরে, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ১০ মিমোল/L (১৮০ মিগ্রা/ডিএল) এর কম হওয়া উচিত। এই পরিসীমাগুলি রক্তের গ্লুকোজ মনিটর দ্বারা পরিমাপ করা হয় এবং এটি রক্তে শর্করার স্বাভাবিক নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে, প্রতিটি ব্যক্তির জন্য এ পরিসীমা আলাদা হতে পারে এবং সঠিক মাত্রা নির্ধারণের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।গ আছে তারা সাধারণত ত্বকের সংক্রমণ, পায়ের অস্বাভাবিক অনুভূতি বা শিহরণ, এবং প্রজনন অঙ্গের যোনি খামির সংক্রমণের মতো সমস্যায় ভুগতে পারেন। গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে লক্ষণ তেমন পরিষ্কার না হলেও, গর্ভাবস্থার ২৪ থেকে ২৮ সপ্তাহের মধ্যে ডাক্তাররা পরীক্ষা করে থাকেন। তাই, ডায়াবেটিসের প্রথম লক্ষণগুলির প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে সময়মতো চিকিত্সা শুরু করা যায় এবং দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা এড়ানো যায়।
ডায়াবেটিস এর স্বাভাবিক মাত্রা কত
ডায়াবেটিসের স্বাভাবিক রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা রোগীর শারীরিক অবস্থা এবং চিকিৎসার ধরণ অনুসারে পরিবর্তিত হতে পারে। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন অনুযায়ী, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপবাসের সময় রক্তে গ্লুকোজের টার্গেট পরিসীমা ৩.৯ – ৭.২ মিমোল/L (৭০ – ১৩০ মিগ্রা/ডিএল) হওয়া উচিত। খাবারের দুই ঘণ্টা পরে, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ১০ মিমোল/L (১৮০ মিগ্রা/ডিএল) এর কম হওয়া উচিত। এই পরিসীমাগুলি রক্তের গ্লুকোজ মনিটর দ্বারা পরিমাপ করা হয় এবং এটি রক্তে শর্করার স্বাভাবিক নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে, প্রতিটি ব্যক্তির জন্য এ পরিসীমা আলাদা হতে পারে এবং সঠিক মাত্রা নির্ধারণের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ডায়াবেটিস মেলিটাস এর লক্ষণ
ডায়াবেটিস মেলিটাস হল একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ, যা রক্তে শর্করার (গ্লুকোজ) মাত্রার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটায়। এটি তখন ঘটে যখন শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণ ইনসুলিন উৎপন্ন করতে পারে না বা কোষগুলি ইনসুলিনের প্রতিরোধী হয়ে পড়ে। ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলি সাধারণত অস্বাভাবিক ওজন কমে যাওয়া, অত্যধিক তৃষ্ণা, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, ক্লান্তি এবং ঝাপসা দৃষ্টি। অনেক সময় এটি কোন উপসর্গ ছাড়াই দীর্ঘ সময় পর্যন্ত রক্তে শর্করা বৃদ্ধি করতে পারে, যা পরে বিভিন্ন জটিলতার কারণ হতে পারে। ডায়াবেটিসের অন্যান্য লক্ষণগুলোর মধ্যে স্নায়ু ক্ষতি, ত্বকে সংক্রমণ, এবং কিডনির সমস্যা অন্তর্ভুক্ত। ডায়াবেটিসের রোগী যদি চিকিৎসা না করান, তাহলে এটি হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, চোখের অন্ধত্ব, কিডনি নষ্ট হওয়া ইত্যাদি মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায়
ডায়াবেটিসের কারণে মৃত্যু সাধারণত তখন ঘটে যখন রোগীর রক্তে সুগার বা গ্লুকোজের পরিমাণ বিপজ্জনক মাত্রায় বেড়ে যায়, যা শরীরের স্বাভাবিক বিপাকক্রিয়া বা মেটাবলিজমের কার্যক্রম ব্যাহত করে। ইনসুলিনের অভাবে গ্লুকোজ ভেঙে শক্তি উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে শরীর চর্বির কোষ ভেঙে শক্তি উৎপাদন করতে শুরু করে। এই প্রক্রিয়ার ফলে কিটো অ্যাসিড তৈরি হয়, যা রক্তে অ্যাসিডিটির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যদি এই অবস্থার চিকিৎসা না করা হয়, তবে রক্তের পিএইচ ৭ এর নিচে নেমে গিয়ে মৃত্যু ঘটাতে পারে। এটি সাধারণত টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসের রোগীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, যেখানে ইনসুলিন তৈরি হওয়ার ক্ষমতা হারানো যায়। ডায়াবেটিস কিটো অ্যাসিডোসিস নামক এই পরিস্থিতি মৃত্যু ঘটানোর অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ডায়াবেটিস রোগীদের ইনসুলিন নিয়মিতভাবে নিতে হবে এবং কোনো শারীরিক অসুস্থতার সময় বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে।