তেঁতুল একটি ঔষধি গুণসম্পন্ন ফল যা নানা স্বাস্থ্য সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, গলা ব্যথা এবং সানস্ট্রোকের মতো সমস্যা সমাধানে কার্যকর। তেঁতুলের অনেক উপকারিতা রয়েছে, যেমন এটি ওজন কমাতে সহায়তা করে, কারণ এটি শরীরে ভাল কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমায়। তেঁতুলে উপস্থিত ফাইবার হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এটি লিভারের স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তেঁতুলের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য শরীরের প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে এবং গলা বা জয়েন্টের ব্যথা উপশম করে। তেঁতুলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া তেঁতুল ক্যানসার প্রতিরোধেও সহায়তা করে।
তবে তেঁতুলের কিছু অপকারিতাও রয়েছে। বেশি পরিমাণে তেঁতুল খেলে রক্তচাপ কমে যেতে পারে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাছাড়া, এটি অ্যালার্জির কারণ হতে পারে এবং কিছু লোকের মধ্যে ফুসকুড়ি, চুলকানি বা শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। অতিরিক্ত তেঁতুল খেলে রক্তপাত বাড়াতে পারে এবং গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ঝুঁকি হতে পারে। এছাড়া, তেঁতুলের টারটারিক অ্যাসিড দাঁতের ক্ষতি করতে পারে। তাই পরিমাণমতো তেঁতুল খাওয়াই সর্বোত্তম।
খালি পেটে তেতুল খেলে কি হয়
খালি পেটে তেঁতুল খাওয়ার কিছু বিশেষ উপকারিতা রয়েছে, তবে এর কিছু প্রভাবও হতে পারে। তেঁতুলে হাইড্রক্সিসাইট্রিক অ্যাসিড রয়েছে, যা শরীরে চর্বি জমতে বাধা দেয় এবং ওজন কমাতে সহায়ক। এটি সেরোটোনিন নিউরোট্রান্সমিটারের মাত্রা বাড়িয়ে খিদে কমাতে সাহায্য করে, ফলে অতিরিক্ত খাওয়া প্রতিরোধ হয়। তেঁতুলে থাকা টক স্বাদ কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে সহায়তা করতে পারে, কারণ এটি হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং অন্ত্রের গতিবিধি বাড়ায়। তবে, খালি পেটে তেঁতুল খেলে কিছু লোকের গ্যাস, অম্বল বা পেটে ব্যথা হতে পারে, বিশেষ করে যারা পেট সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছেন। তাই, তেঁতুল খাওয়ার সময় সতর্ক থাকা জরুরি, বিশেষ করে যদি আপনার পেট সংক্রান্ত কোনো সমস্যা থাকে।
নবজাতকের জন্ডিস হলে মায়ের করনীয়
প্রতিদিন তেঁতুল খেলে কি হয়
প্রতিদিন তেঁতুল খেলে শরীরে বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা হতে পারে। তেঁতুল হজম শক্তি বাড়াতে সহায়ক, কারণ এটি ফাইবারে সমৃদ্ধ যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এটি ডায়বেটিস কন্ট্রোল করতে সক্ষম, কারণ এতে থাকা উপাদান রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তেঁতুলের মধ্যে থাকা হাইড্রক্সিসাইট্রিক অ্যাসিড শরীরে চর্বি জমতে দেয় না এবং এর ফলে ওজন কমাতে সহায়ক। তেঁতুল পেপটিক আলসার রোধ করতে সহায়ক, কারণ এটি পাকস্থলীর পরিপাক ক্রিয়া ভালো রাখে। এটি হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষা করে, কারণ এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। তেঁতুল ক্যান্সার রোধে সহায়ক, কারণ এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পূর্ণ যা ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এছাড়া তেঁতুল ক্ষত সারাতে সাহায্য করে এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে সহায়ক, কারণ এতে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। তবে, তেঁতুল খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিমাণের দিকে নজর রাখা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।