হার্নিয়া রোগের লক্ষণ কি

হার্নিয়া হল একটি শারীরিক অবস্থা যেখানে পেটে বা কুঁচকির আশেপাশে কোনো অঙ্গ বা টিস্যু দুর্বল স্থান বা খোলার মাধ্যমে বেরিয়ে আসে, যার ফলে সেখানে ব্যথা এবং অস্বস্তি হতে পারে। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এটি সাধারণত স্পর্শের মাধ্যমে একটি স্ফীতি বা গলদ অনুভূত হয়। এছাড়া, বুকে ব্যথা, গিলতে অসুবিধা, কাশি, বাঁকানোর সময় ব্যথা বা ভারীতা, এবং বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া এমন কিছু সাধারণ লক্ষণ। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে, হার্নিয়া দেখা যায় যখন তারা কাঁদে বা চাপ অনুভব করে। কিছু ক্ষেত্রে, হার্নিয়া কোন পূর্বসতর্কতা ছাড়াই দেখা যায় এবং শুধুমাত্র মেডিকেল পরীক্ষায় ধরা পড়ে। হার্নিয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় যদি পরিবারের মধ্যে পূর্বে হার্নিয়ার ইতিহাস থাকে, স্থূলতা, অতিরিক্ত ভারী উত্তোলন, ধূমপান, দীর্ঘস্থায়ী কাশি, এবং ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে। হার্নিয়ার রোগ নির্ণয় সাধারণত শারীরিক পরীক্ষা এবং কিছু ক্ষেত্রে সিটি স্ক্যান বা এক্স-রে দ্বারা নিশ্চিত হয়। চিকিৎসায় অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হতে পারে, যা সাধারণত অ্যানেস্থেশিয়ার অধীনে সম্পন্ন হয় এবং এর মধ্যে ল্যাপারোস্কোপিক বা খোলা পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

হার্নিয়া থেকে মুক্তির উপায়

হার্নিয়া থেকে মুক্তির সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হল সার্জারির মাধ্যমে চিকিৎসা করা। প্রিস্টিন কেয়ারে, আমরা হার্নিয়ার চিকিৎসায় উন্নত ল্যাপারোস্কোপিক এবং প্রচলিত পদ্ধতি প্রদান করি। ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং কার্যকর পদ্ধতি, কারণ এটি নূন্যতম কাটাছেঁড়া সহ সম্পন্ন হয় এবং রোগীর পুনরুদ্ধার দ্রুত হয়। এই পদ্ধতিতে ছোট ক্ষত তৈরি হয়, যা সংক্রমণের ঝুঁকি কমায় এবং রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। সাধারণত, ল্যাপারোস্কোপিক কৌশলটি রোগী এবং চিকিৎসক উভয়ের কাছেই জনপ্রিয়, কারণ এটি কম ব্যথা এবং দ্রুত ফলাফল দেয়।

হার্নিয়া হলে কি কি সমস্যা হয়

হার্নিয়া হলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটি যখন বাড়তে থাকে, তখন আশেপাশের টিস্যুতে চাপ সৃষ্টি করে, যার ফলে সেই টিস্যুগুলিতে তীব্র ব্যথা এবং ফুলে যাওয়া হতে পারে। হার্নিয়ার কারণে কখনও কখনও অন্ত্রগুলি পেটের প্রাচীরে আটকে যেতে পারে, যা অত্যন্ত তীব্র ব্যথা, ফোলা, বমি বমি ভাব, বমি এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এই পরিস্থিতি রোগীকে শারীরিকভাবে অসহ্য অবস্থায় ফেলতে পারে এবং দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন হয়, কারণ এটি গুরুতর জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।

চোখ চুলকানোর কারণ কি

হার্নিয়া অপারেশন খরচ

বাংলাদেশে হার্নিয়া অপারেশনের খরচ তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী। সাধারণত, হার্নিয়া সার্জারির গড় খরচ ৳ 90,000 থেকে ৳ 100,000 পর্যন্ত হতে পারে। এই খরচ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকের উপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে, তবে এটি বিশ্বব্যাপী অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। সার্জারির ধরণ, যেমন ল্যাপারোস্কোপিক বা সাধারণ পদ্ধতি, এবং চিকিৎসকের অভিজ্ঞতা অনুসারে খরচে কিছুটা পার্থক্য থাকতে পারে। তবে, এই খরচে উন্নত চিকিৎসা সেবা পাওয়া সম্ভব, যা রোগীদের দ্রুত সুস্থ হতে সহায়ক।

By SAGDOM

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *